ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ ২০২২ । ফ্রিল্যান্স কাজের জন্য টাকা জামানত, ঠিক নাকি প্রতারণা

ঘরে বসে বহির্বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী মানুষেরা। তাইতো অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সফলও হচ্ছেন অনেকে। তাঁদের সাফল্য দেখে অনেকেই সরকারি অথবা বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ খুঁজে থাকেন। তবে নতুনদের অনেকেই না জেনে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে নানা ক্লায়েন্টের মাধ্যমে প্রতারিত  হয়ে থাকেন।

দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগায়

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেরই সুনির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা না থাকার কারনে টাইপের কাজ করে শীঘ্রই আয় করতে চান। আর তাঁদের এই দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগায় মার্কেটপ্লেসে থাকা অনেক ক্লায়েন্ট। নতুনদের কাজ দেওয়ার নামে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেন তাঁরা, যার মধ্যে অর্থ (টাকা) জামানত রাখার বিষয়টি অন্যতম।

বড় ভুল করে থাকেন নতুন ফ্রিল্যান্সরা

১০ হতে ২০০ ডলার জমা রাখলেই প্রতি পৃষ্ঠা ৮০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রলোভন দেখান তাঁরা। ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা লোভে পড়ে চেষ্টা করেন কীভাবে জামানতের অর্থ (টাকা) পাঠানো যায়। এখানেই সব থেকে বড় ভুল করে থাকেন নতুন ফ্রিল্যান্সরা। কারণ, ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে অর্থ (টাকা) জামানত রাখা অধিকাংশ মানুষই প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন। বিষয়টি জানা থাকায় এসব ক্লায়েন্টকে এড়িয়ে চলেন মার্কেটপ্লেসে দীর্ঘদিন কাজ করা ফ্রিল্যান্সাররা। তবে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা দ্রুত ইনকাম করার আশায় প্রতারকদের ফাঁদে পা দেন।

আরও পড়ুনঃ

ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ জামানত রাখার কথা বলেন না

মনে রাখতে হবে ভালো ক্লায়েন্টরা সর্বদাই কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ চান। এ জন্য তাঁরা আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে / নিশ্চিত হতে নানা কাজের নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা যাচাই করেই কাজ দিয়ে থাকেন তাঁরা। কখনোই ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ (টাকা) জামানত রাখার কথা বলেন না। তাই ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে নিরাপদ থাকতে ক্লায়েন্ট কোন ধরনের কাজ আপনাকে দিয়ে করাতে চাইছেন অথবা সে কোন ধরনের শর্ত দিতে চাচ্ছেন সে সম্পর্কে আগে থেকেই আপনাদের ভালোভাবে জানতে হবে।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *