ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ ২০২২ । ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের প্রস্তাব পাঠানোর সঠিক নিয়ম

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যোগ্যতা থাকার পরও অনেকেই কাজ পান না। ক্লায়েন্টের সাথে সঠিক নিয়মে কাজ করা নিয়ে আলোচনার পদ্ধতি না জানা অথবা চাহিদা না বুঝে ভুল তথ্য পাঠানোই এর অন্যতম প্রধান কারণ। ফ্রিল্যান্সারদের বেশিরভাগই প্রথম দিকে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলেও বেশ কিছু কৌশল কাজে লাগিয়ে ক্লায়েন্টদের বিশ্বাস অর্জন করেছেন তাঁরা। আর তাই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সঠিক উপায়ে কাজের প্রস্তাব পাঠানোর নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রস্তাবের নিয়ম

প্রথমেই সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট যে দেশে বসবাস করেন, সে দেশের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য জানতে হবে। তারপর সেই দেশের সময় অনুযায়ী ক্লায়েন্টের সাথে কাজের প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন। ভুল সময়ে কাজের প্রোপোজাল পাঠানোর কারনে ক্লায়েন্ট অনলাইনে না থাকায় সেটি তাৎক্ষণিক পড়তে পারেন না। পরের তিনি যে সময়ে কাজ শুরু করবেন, ততক্ষণে আপনার মতো অনেক ফ্রিল্যান্সারের কাজের প্রস্তাব তাঁর কাছে জমা হয়ে যেতে পারে বা জমা হয়ে যাবে। ফলে আপনার তথ্য ক্লায়েন্টের চোখেনাও পরতে পারে। তাই ক্লায়েন্ট যে দেশে বসবাস করেন, সে দেশের কর্মঘণ্টা মোতাবেক কাজের প্রস্তাব পাঠাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ 

ফ্রিল্যান্সারকে ফিরতি বার্তা পাঠান ক্লায়েন্টরা

কাজের প্রস্তাব পছন্দ হলে ক্লায়েন্টরা সাধারণত ফিরতি বার্তা পাঠান। অধিকাংশ সময় একাধিক ফ্রিল্যান্সারকে ফিরতি বার্তা পাঠান ক্লায়েন্টরা। যার কারনে আপনি দেরিতে বার্তার উত্তর পাঠালে ক্লায়েন্ট অন্য কোনো ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দিয়ে দিতে পারেন। এ জন্য ফ্রিল্যান্সারদের সব সময় অনলাইনে থাকতে হবে। কারণ, ক্লায়েন্টের বার্তা আসার পর দ্রুত ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ

ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের সময় বার্তার ভাষাগত পার্থক্যের কারণে আমরা প্রথমেই অন্য ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ি। কারণ, বার্তার শুরুতেই আমরা লিখে থাকি, ডিয়ার স্যার/ম্যাডাম। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ নানা দেশের ক্লায়েন্টরা নাম ধরে সম্বোধন করতে অভ্যস্ত। আর তাই ক্লায়েন্টদের নাম ধরে সম্বোধন করতে হবে। এ জন্য অবশ্যই ক্লায়েন্টের নামের বানান অবশ্যই সঠিক হতে হবে। তিনি যেভাবে বানান লেখেন, সেভাবেই নাম লিখতে হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের ফিডব্যাক অপশনে খোঁজ করলেই ক্লায়েন্টের নাম জানতে পারবেন। কারণ, কোনো না কোনো ফ্রিল্যান্সার তাঁর নাম উল্লেখ করে তাঁর সম্পর্কে ভালো অথবা খারাপ রিভিউ দিয়েছেন।

কাজের প্রস্তাবে ক্লায়েন্ট যেসব বিষয়ে জানতে চান

এবার আপনার পাঠানো কাজের প্রস্তাবে ক্লায়েন্ট যেসব বিষয়ে জানতে চান, শুধুমাত্র সে বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের কাজ আপনি কীভাবে করতে চান, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি একই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে উল্লেখ করতে হবে। আপনাকে কাজ দিলে ক্লায়েন্টের কী উপকার হবে, সে বিষয়ও লিখতে হবে। মনে রাখবেন, একাধিক ফ্রিল্যান্সারের সাথে যোগাযোগ করে যাঁকে সবচেয়ে বেশি যোগ্য মনে হবে, তাঁকেই কাজ দেবেন ক্লায়েন্ট। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মিথ্যা বা ভুল বার্তা দেওয়া যাবে না।

ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের সময় সতর্ক থাকতে হবে

দ্রুত বার্তা পাঠানোর জন্য অনেকেই একই বার্তা একাধিক ক্লায়েন্টের নিকট পাঠিয়ে থাকেন। এই কাজ করা যাবে না, কারণ, সব ক্লায়েন্টের কাজের চাহিদা একরকম হয় না। যার কারনে প্রতিটি ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝে নতুন বার্তা পাঠাতে হবে। বার্তা পাঠানোর সময় বানান এবং ভাষাগত ত্রুটি যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।  বানান বা ভাষাগত ভুল করলে আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে ক্লায়েন্টের মনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। তাই ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের সময় সতর্ক থাকতে হবে।

প্রতারক সব জায়গায়ই থাকে। তাই যেসব ক্লায়েন্টের পেমেন্ট অপশন ভেরিফায়েড রয়েছে, কেবল মাত্র তাদের কাজের প্রস্তাব পাঠাতে হবে।

সূত্রঃ প্রথমআলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *