রেশন কার্ড বাংলাদেশ ২০২২। ১ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দেওয়ার ঘোষণা আসতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী

পৃথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক অবনমন আঘাত বাংলাদেশেও লেগেছে। তবে সরকার এ আঘাত সামল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যগ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ‘অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চিন্তা করে আমরা মাত্র ১৫ টাকা কেজি মূল্যে ৩৫ লাখ মানুষকে চাল দেওয়া হবে। আর একটা রেশন কার্ডের ব্যবস্থা ও করে দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল এবং চিনি দেওয়া হবে ৩০ টাকা কেজিতে। ১ কোটি পরিবারকে এই রেশন কার্ড দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে সঠিকমূল্যে তারা পণ্য ক্রয় করতে পারবে। সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহন করছি এবং খুব দ্রুতই আমরা এর ঘোষণা দিতে পারবো।’

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বক্তৃতা

রবিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আমরা অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা সামলাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ আমি চাই না, আমার দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক। সেই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে। কারণ রাজনীতি করিইতো  জনগণের জন্য। জানি না, আল্লাহ হয়তো আমাকে বারবার বাঁচিয়ে রেখেছেন, হয়তো এদেশের কল্যাণের জন্য, এদেশের মানুষের জন্যই।’

রাখে আল্লাহ মারে কে, মারে আল্লাহ রাখে কে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘দেশের এমন কোনও এলাকা নেই যেখানে গুলির মুখোমুখি হয়নি, না হয় বোমা, আর না হলে গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়েছি। তারপরও বেঁচে এসেছি, দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

আমাদের কর্তব্য  জনগণের প্রতি

একুশের আগস্টে গ্রেনেড হামলায় বেঁচে ফেরাদের নতুন করে জন্ম হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, ‘আজ সেই একুশে আগস্ট। হ্যাঁ, সেদিন আমাদের নতুন জন্ম হয়েছিল যারা সে দিন র‌্যালিতে অংশ নিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের কর্তব্য  জনগণের প্রতি। আর সেই কর্তব্য যতসময় পর্যন্ত নিশ্বাস আছে, পালন করে যাবো ইনশাআল্লাহ সেটাই হচ্ছে আজকের অঙ্গীকার।’

সকলের সাহায্য এবং সহযোগিতা প্রয়োজন

তিনি পৃথিবীব্যাপি অর্থনৈতিক অবনমনের প্রতিকুলতা মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, ‘পৃথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক প্রতিকুলতার যে ধাক্কা আমাদের ওপর এসেছে, তা থেকে দেশের মানুষকে কীভাবে পরিত্রাণ  করবো, সেটাই আমাদের ভাবনা। এজন্য সকলের সাহায্য এবং সহযোগিতা প্রয়োজন । ‍শুধু তিরস্কার আর কথা বল্লেইতো হবে না। প্রত্যেককে কাজও করতে হবে।’

নজির বিহীন গ্রেনেড হামলা

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে এই নজির বিহীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতা। আক্রান্ত হন সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান

ঐ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা ইতিহাস রচনা করে শেখ হাসিনাকে বাচালেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী সেদিন প্রাণ হারান।

হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন

ইতিহাসের এই ঘৃণিত গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হামলায় নিহতদের স্মরণ করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। নরকীয় গ্রেনেড হামলার জবাব এবং নিহতদের স্মরণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *