ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ বাসি ৪ কারনে
চলতি মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার লাক্ষ লাক্ষ মানুষ এবং বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ যেনে বিদুৎতের গতিতে অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিরতিহিন বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকার কারনে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা ভয়াবহ বন্যায় আকার ধারন করেছে। দেশের ইতিহাসে এর আগে গত এক দিনে এমন ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে হয়নি কাওকে। সিলেট বিভাগের প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চল এখন পানওর নিচে।সিলেট জেলার ৩০ লাক্ষ ও সুনামগঞ্জ জেলার ২০ লাক্ষের ও বেশি মানুষ বন্যার মতো দুর্যোগের সাথে মোকাবেলা করছে প্রতি নিয়ত। গবেষনা থেকে জানা গেছে গত ৫০ বছরেও এমন বন্যা দুর্যোগে পরতে হয়নি এই সিলেট ও সুনামগঞ্জ বাসিকে।
বন্যাতে এই অঞ্চল গুলো প্লাবিত হবার কারনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন চলাচল সহ বিদ্যুৎ সংযোগ ও। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অন্ধকারে আরো ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। এই অবস্হায় সিলেটের বন্যাকবলিত লোকদের জন্য ৬১২ টন চাল ৪২ লাক্ষ টাকা এবং ৮ হাজার পেকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। প্রকিতির এই চরম ভয়ংকর রপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।অনেকের শেষ সম্বল টুকুও রাখতে নারাজ এই বন্যা।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ভারতের গজলডোবার সব গেইট খুলে দেওয়ার ফলে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমাকে অতিরিক্ত করেছে এবং পানিগুলো ডুকে পরেছে নদী তীরবর্তি এলাকাগুলোতে।এতে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে বিস্তৃত চরের উঠতি ফসলগুলো। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে ৪৪ টি সুইচগেট খুলে রাখা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বন্যার পানি অপসারণের জন্য প্রয়োজনে রাস্তা কেটে ফেলার ও নির্দেশ দিয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে পাহারি ঢলের পানি কেনো সিলেট দ্রুত সরে দক্ষিণে নেমে যাচ্ছে না এবং পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত কেনো হচ্ছে। এই বিষয়ে পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছে
৪ কারনে এবার ভয়াবহ বন্যায় এবার খারাপ অবস্থা সিলেটের।
- নদীর নব্যতা
- সংকট
- পরিকল্পিত বাঁধ ও সুইচগেট নির্মাণ
- হাওর বিল ঝিল ভরাট ও নির্বিচারে পাহাড় ও টিলা কাটা।
এখন সমাধানের পথগুলো হচ্ছে সিলেটের দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা সহ অন্যান্য নদ-নদী গুলো খনন করা। সিলেট নগরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত প্রাকৃতিক ছড়াগুলো দখলমুক্ত করে খনন করা।এভাবেই পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক পথ নিশ্চিত হবে বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি জরুরি কালনী নদী খনন।কারন সিলেটের বিশাল এলাকর পানি শুধু এই এই কালনী নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়।